লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবুল বাশারের বিরুদ্ধে আলমগীর হোসেন নামে এক প্রবাসীকে ধর্ষণ মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে ইউপি কার্যালয়ের সামনে রসুলগঞ্জ বাজারে মানববন্ধনের করা হয়। ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আবুল বাশার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও চরলামচি গ্রামের বাসিন্দা।
এতে বক্তব্য রাখেন, সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেন, ইকবাল হোসেন, শরিফ হোসেন ও মো. বাকের বক্তব্য রাখেন। এসময় অর্ধ-শতাধিক নারী-পুরুষ উপিস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী হালিমা বেগম বলেন, সরকারি ভাতা পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমার মেয়ে তানিয়া আক্তারের কাছ থেকে মেম্বার আবুল বাশার ৩ হাজার টাকা নিয়েছে। এক বছর হয়েছে এখনো পর্যন্ত তিনি কোন কিছু দেয়নি।
ইকবাল, শরীফ ও বাকের জানায়, সালিসি বৈঠকের নামে বাশার মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি ইউপি সদস্য হওয়ার আগে তিনি রিকশা চালক ছিলেন। এখন তিনি পাকা ভবনের মালিক। জনগণের জন্য দেওয়া সরকারের সুযোগ সুবিধা দিতে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেন। সালিসি বৈঠকে বিচারের নামে নারীদের সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন। আলমগীর সৌদি থেকে ছুটিতে এসেছেন। তার একটি পারিবারিক সমস্যা সমাধানের জন্য গেলে বাশার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় তিনি সাজানো একটি নারী নির্যাতন মামলায় আলমগীরকে আসামি করিয়ে ফাঁসিয়ে দেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, পারিবারিক বিরোধ মীমাংসার জন্য আমরা আবুল বাশারের কাছে যায়। এসময় তিনি আমাদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় তিনি আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নারী নির্যাতন মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আমার নামে মিথ্যা ঘটনা রটিয়ে এলাকায় অপ-প্রচার করছে।
ইউপি সদস্য আবুল বাশার বলেন, আলমগীরের বিরুদ্ধে অন্য একজনের মামলা করেছে। আমি ওই মামলার সাক্ষী। এজন্য লোকজনকে আমার বিরুদ্ধে একত্র করে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
Leave a Reply