মিজানুর শামীমঃ লক্ষ্মীপুরে র্যালী, গল্প বলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মীনা দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল দশটায় মীনা দিবস- ২০২২ উপলক্ষে সদর উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরীণ সড়কে প্রথমে র্যালী, পরে পরিষদের অডিটোরিয়ামে গল্প বলার আসর ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো: আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহের নিগার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। এছাড়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগন, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০০ জন পুরুষ শিক্ষক ও ৬০ শিক্ষিকা এবং পৌর এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী নিকট শনিবার বিকেলে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের মোট ১৩ টি ক্লাস্টার আছে, কোনো বিদ্যালয় যেন বাদ না যায় তাই প্রত্যেকটি ইউনিয়নের দুইটি স্কুল থেকে চারজন শিক্ষক অনুষ্ঠানে এনেছি, শিশু হওয়ার কারণে শুধু পৌর এলাকার বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থী এনেছি। অনুষ্ঠানে ৫জন শিক্ষার্থী কবিতা আবৃত্তি করেছে, ৫জন শিক্ষার্থী নৃত্য পরিবেশন করেছে, ৫জন শিক্ষার্থী গান গেয়েছে এবং শিক্ষকরাও গান গেয়েছেন। জেলা প্রশাসক স্যার লম্বা সময় ধরে পড়াশোনা ও জ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা করে শিশু সকল বিষয়ে দিক নিদের্শনা দিয়েছেন। সবশেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় জেলা প্রশাসক
মহাদয়ের হাত থেকে ১৫ জন শিশু শিক্ষার্থীকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বই উপহার হিসেবে দেয়া হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী আরও বলেন, এ (২০২২) বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা’। সরকার, এনজিও ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতায় ‘ইউনিসেফ’ ঘোষিত দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপন করে থাকে। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব-এশিয়ার দেশসমূহে দিবসটি উদযাপিত হয়। বিদ্যালয়ে যেতে সক্ষম শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ঝরেপড়া রোধের অঙ্গীকার নিয়ে বিশ্বে পালিত হয় ইউনিসেফের ঘোষিত দিবসটি। দিবসটি উপলক্ষে আমরা লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ এদিন র্যালী, গল্প বলার আসর, কবিতা আবৃত্তি, গান পরিবেশন ও মীনা বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করি।
তিনি বলেন, কার্টুন চরিত্রে মীনার বয়স নয় বছর। এই কার্টুনের আরও দুটি চরিত্রের নাম মিনার ভাই রাজু আর পোষা পাখি মিঠু। লিঙ্গ বৈষম্য রোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচতেনতা ও শিশু নিরাপত্তার গুরুত্ব নিয়ে মিনা কার্টুনের গল্পগুলো তৈরি করা হয়। কার্টুনটি বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, হিন্দি ও নেপালি ভাষায় সম্প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশে ইউনিসেফের বড় অর্জনগুলোর একটি ‘মীনা’।
Leave a Reply