দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে থাকেন স্বামী। খোঁজ-খবর নেন না স্ত্রীর। তাই সে স্ত্রী তার স্বামীকে দেশে আনার ব্যবস্থা করতে সরনাপন্ন হয়েছেন কথিত জ্বীনের বাদশার কাছে। জ্বীনের মাধ্যমে তদবির করে স্বামীকে তার স্ত্রীর কাছে এনে দেবেন মর্মে চুক্তি করেছেন দেড়লাখ টাকা। এরই মধ্যে প্রথম দফা ৫০ হাজার এবং দ্বিতীয় দফা ৮৭ হাজার টাকা আদায় করে নেন কথিত দুই জ্বীনের বাদশা। তবে বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে অবশেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ থানাধীন কালির বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রতারণার ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায়। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার নারী বাদি হয়ে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ওই দুই প্রতারককে রায়পুর থানায় হস্তান্তর করে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেনায়েতপুর গ্রামের মৃত মিছির আলী সওদাগরের ছেলে মো. নসু মিয়া সওদাগর (৫০) ও কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বেপারী বাড়ির মৃত ইসমাইলের ছেলে মো. ইউনুছ (৫২)।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনাটি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া৷
তিনি বলেন, দুই প্রতারক জ্বীনের মাধ্যমে আমেনা বেগম (৪০) নামে এক নারীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তার স্বামীকে প্রবাস থেকে দেশে নিয়ে আসার কথা বলে দেড় লাখ টাকা চুক্তি করে। তাদের কথামতো ওই নারী প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে সরল বিশ্বাসে তাদের হাতে গত ২ সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকা, পরবর্তীতে গত ৪ সেপ্টেম্বর পুনরায় ৮৭ হাজার তুলে দেয়।
ওই টাকা নিয়ে প্রতারকরা পালানোর চেষ্টাকালে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় লোকজনসহ ফরিদগঞ্জ থানাধীন কালির বাজার হইতে তাদের আটক করে। পরে থানা পুলিশ সোপর্দ করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভূক্তভোগী নারী বাদি হয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) উদ্ধারকৃত টাকাসহ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply