লক্ষ্মীপুরে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাছে নিজ পুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক মা। ঘটনায় স্ত্রীসহ পুত্র আমজাদকে ইউনিয়ন পরিষদে তলব করেন চেয়ারম্যান। দু’পক্ষের কথা শুনে পুত্র আমজাদকে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বকাবকি করে পুলিশে দেয়া হবে শাসন করলে বাঁধে বিপত্তি। চেয়ারম্যানের বকা খেয়ে বৃদ্ধা মায়ের পুত্র আমজাদ টয়লেটে গিয়ে অজ্ঞানের অভিনয় করেন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে সাংবাদিক ডেকে সে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে নিউজ করায়। ঘন্টা দু’য়েক পরে পুত্র আমজাদ সুস্থ হয়ে বাড়ীতে গিয়ে স্হানীয়দের সামনে মায়ের কাছে ক্ষমা চাইলে সকল নাটকের অবসান ঘটে।

এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার ৬নং ওয়ার্ড মুক্তা রামপুর গ্রামের পোরশ মোহাম্মদ হাজী বাড়ীতে গত ১৫ আগস্ট তারিখে একটি তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রীসহ আমজাদ নামে এক লোক নিজের গর্ভধারিনী বৃদ্ধা মাকে পিটিয়ে জখম করে বলে বৃদ্ধার মেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নিকট অভিযোগ করেন। আমজাদ ঐ বাড়ির মৃত নজরুল ইসলাম পুত্র।
অভিযোগ পেয়ে ১৬/৮/২০২২ তারিখ দুপুরে চৌকিদার দিয়ে আমজাদ ও তার স্ত্রীকে খবর দিয়ে পরিষদে নিয়ে আসা হয়। এসময় দু’পক্ষের কথা শুনে মাকে ভরনপোষণ না দেয়া ও মারধরের জন্য পুত্র আমজাদকে আমি বকা দিয়ে পুলিশের দেয়ার কথা বলি। আমার বকা খেয়ে আমজাদ টয়লেটে গিয়ে শুয়ে থাকে এবং অসুস্থতার অভিনয় করে। পরবর্তী তাদেরকে আমি হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালে গিয়ে আমজাদ সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নিউজ করায়। হাসপাতাল থেকে ঘন্টা দুয়েক পরে রিলিজ দেয়া হলে আমজাদ বাড়ীতে আসে। তখন স্হানীয় গন্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে আমজাদ তার মায়ের নিকট নিজের অতীত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলে তার মা পুত্র আমজাদকে ক্ষমা করে দেন।
ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম আক্ষেপ করে এ প্রতিবেদককে আরও বলেন, নিজ পুত্র দ্বারা কোনো গর্ভধারিনী মা যদি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কাছে বিচার চায়। এতে পারিবারিক ঝগড়া- বিবাদ মীমাংসার জন্য একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে মাকে শারীরিক নির্যাতনের জন্য ছেলেকে বকাবকি করা কি সমীচীন নয়?
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মালেকের নিকট এ ব্যাপারে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমজাদ তার মাকে নিয়মিত ভরনপোষণ দেয়না, এ নিয়ে এলাকায় বহুবার শালিস বৈঠক হয়। মোবাইল ফোনে বৃদ্ধার পুত্র আমজাদের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলেও সে ফোন না ধরায় তা সম্ভব হয় নাই।