লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন এবং রামগতি উপজেলার চরআবদুল্যা ও বড়খেরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। এ তিন ইউনিয়নে দুইজন করে ছয়জন প্রার্থী প্রতিন্বন্দ্ধীতা করেছেন। এছাড়া বড়খেরী এবং চর আবদুল্লাহতে সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্ধীতা করেছেন।
বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এ তিন ইউপিতে টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন রাতে স্ব-স্ব রির্টানিং কর্মকর্তা নির্বাচিত প্রার্থীদের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সালাউদ্দিন চৌধুরী জাবেদ নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্ধী প্রার্থী আলতাফ হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৩ হাজার ১০ ভোট পেয়েছেন। তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৫৭ জন।
রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন মো. হাসান মাকসুদ মিজান। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়ছেন ৬ হাজার ৩৯৯ ভোট। দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকে মো. আবদুল খালেক মাসুদ পেয়েছেন ৯০২ ভোট। ইউনিয়নে ভোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১১ হাজার ৯৩৭ জন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যম ভোট দিয়েছে এ ইউনিয়নের ভোটাররা।
রামগতির বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহতে দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান হয়েছেন কামাল উদ্দিন। আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ২২৫০ ভোট পেয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বেলাল হোসেনকে হারিয়েছেন। দলের বহিষ্কৃত ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা বেলাল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০৯৯ ভোট।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক এবং রামগতি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী ফলাফলের বিষয়টি বাংলার মুকুলকে নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাংলার মুকুলকে বলেন, লক্ষ্মীপুরের তিনটি ইউনিয়নে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট চলাকালীন সময়ে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি তার।