লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা জোয়ারেরপানিতে প্লাবিত হয়েছে। জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। জোয়ারের পানি কয়েক ঘণ্টা থাকার পর তা নেমে গেলেও স্থানীয় লোকজন দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে। তীর সংলগ্ন ফসলি জমিও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া নদীতে জোয়ারের তোড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার এবং শনিবার কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ, কালকিনি, চরমার্টিন এবং মতিরহাট এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি খুব সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে নদী ভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
তারা জানায়, কমলনগর উপজেলার কালকিনি, সাহেবেরহাট, পাটারীর হাট, চর ফলকন, চর মার্টিন, চর লরেঞ্চ ইউনিয়ন এবং রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী, চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে জোয়ারের পানি উঠে পড়ে।
কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি গত ৩ দিন থেকে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এবং আজ শুক্রবার পানির পরিমাণ বেড়েছে। এতে নদীর তীর সংলগ্ন বসত বাড়িতে পানিতে উঠে গেছে।
লিপি আক্তার নামে এক নারী বলেন, দুপুরের দিকে পানি উঠতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পানি ঘরের ভেতর ঢুকে যায়। এতে শিশু সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ি।
একই এলাকার বাসিন্দা আকলিকা আক্তার বলেন, জোয়ারের পানিতে তাদের রান্নার চুলো তলিয়ে গেছে। এতে রান্না করতে সমস্যা হয়েছে তাদের। প্রতিনিয়ত তারা এমন পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন বলে জানান।
এছাড়া গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানান নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা।
স্থানীয় আবদুর রহমান বলেন, টানা তিনদিনের জোয়ারের পানিতে কমলনগরের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি এবং কাঁচা ঘরের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
কমলনগরের চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফ উল্যা বলেন, জোয়ারের পানি নামার সময় উপকূলে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। এতে অনেকের বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
Leave a Reply