জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ফিরোজ আলমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কমর্চারী চাকরী বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি থেকে বিষয়টি নিশ্চত হওয়া গেছে। এর আগে ৩১ মে সোমবার তাকে বরখাস্তের অফিস আদেশ জারি করে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।
ফিরোজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আবিরনগর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে চাকরি পান। ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে তিনি চর বাদাম ইউনিয়নে সচিব হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
সূত্র জানায়, ফিরোজের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ৬ মাস আগে এক সেবা গ্রহিতার থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে প্রকাশ হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, সেবা গ্রহিতার জন্ম নিবন্ধন করিয়ে দেয়ার জন্য ফিরোজকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এসময় সেখানে কিছু টাকা কম নেয়ার অনুরোধ করেন সেবা গ্রহিতা। কিন্ত টাকা কম নেয়নি। উল্টো ফিরোজ জানিয়েছেন, ওই টাকা তিনি নেন না। আরও উপরের লোকজনকে টাকা দিতে হয়।
ফিরোজ আলম বলেন, আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। তদন্ত করে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মাথা পেতে নেব।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেট থেকে জানা যায়, জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে যে কোন শিশুর জন্ম নিবন্ধন বিনে পয়সা, ৪৫ দিনের পর ৫ বছর পর্যন্ত ২৫ টাকা, ৫ বছরের পর জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন ৫০ টাকা, জন্ম তারিখ সংশোধন ফি ১০০ টাকা, বাংলা ও ইংরেজি নামের তথ্য সংশোধন ফি বিনে পয়সায় এবং বাংলা ও ইংরেজি সনদ ফি ৫০ টাকা।