লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা এলাকার মেঘনা নদী থেকে অস্ত্রসহ ৫ দস্যুকে আটক করে তাদের জিম্মিদশা থেকে ৫ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা মেঘনা নদীর হেলালের খালের মুখ থেকে দস্যুদের কবল থেকে অপহৃতদের উদ্ধার করে। এসময় দস্যুদের কাছ থেকে একটি এলজি, কার্তুজ পাঁচটি, তিনটি রামদা ও দুটি টচ লাইট ও একটি কাঠের নৌকা উদ্ধার করা হয়।
আটক দস্যুরা হলেন- ভোলা জেলার মৃত নুর ইসলামের পুত্র মঞ্জুর আলম বেপারী (৪০), নুর ইসলামের ছেলে আবদুর রহিম (৩০), লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডারের ইসলাম মাঝির ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), চর আবদুল্যাপুর ইউনিয়নের মো. আবদুল বশিরেরে ছেলে মো. হাসান (৩৭), সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মৃত নুর ইসলামের ছেলে মো. হযরত আলী (২৫)। উদ্ধার জেলে নৌকার মাঝিরা হলেন, নোয়াখালী জেলায় হাতিয়ার নুরুজ্জামানের ছেলে নুর নবী (৪৬), হাতিয়ার হরনি ইউনিয়নের বয়ারচরেরে মো. ফরিদের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৫), একই এলাকার মৃত লাল মোহন দাসের ছেলে বাসু দেব (২৫) ও আবদুর রশিদর পুত্র আবদুল বারেক এবং কোম্পানিগঞ্জের কবিরহাটের আবুল কাশেমের ছেলে অলি আহমেদ।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে নৌ-পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, দস্যুরা নোয়াখালীর ভাসানচর সংলগ্ন সাগর থেকে জেলেদের মাছ ধরার নৌকা থেকে ৫ জন মাঝিকে অপহরণ করে মুক্তিপণের উদ্দেশে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাট সংলগ্ন মেঘনা নদীর একটি দুর্গম চরে নিয়ে আসে। নিয়মিত নৌ-পুলিশের সদস্যরা স্পিডবোর্টে নদীতে টহল দেওয়ার সময় অপহৃত মাঝিরা চিৎকার দিয়ে তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা চায়।
এসময় নৌ-পুলিশ সদস্যরা জলদস্যুদের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করে এবং দস্যুদের আটক করে। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় তৈরী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌ-পুলিশের এসপি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আরও বলেন, মুক্তিপণ বাবদ মাঝিপ্রতি এক থেকে দুই লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। মুক্তিপণের জন্য দস্যুরা তাদের নির্যাতন করে। আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র এবং অপহরণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।
জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার হওয়া জেলে নৌকার মাঝি নুর নবী বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মেঘনা নদীর ভাসানচর এলাকায় থাকা তাদের মাছ ধরার নৌকা থেকে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে আসে। মুক্তিপণের দাবিতে তাকে ব্যাপক মারধর করে। উদ্ধার হওয়া অন্যরা জানান, রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নদী এবং সাগরে থাকা নৌকা থেকে তাদের তুলে আনা হয়। সকালে মেঘনা নদীর একটি চরে এনে স্ব-স্ব নৌকাতে মুক্তিপণের জন্য খবর পাঠায়। এসময় সময় তাদের মারধর করে দস্যুরা। তাদের নিয়ে আসার সময় নৌকার ইঞ্জিন বিনষ্ট করে দেয় তারা।
Leave a Reply