দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। দলীয় সভানেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছে, তার পক্ষে সকলকে সমর্থন দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। বিদ্রোহী হয়ে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন। ৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন

তিনি আরও বলেন, ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী হলে আর যা-ই হোক, তিনি আওয়ামী লীগ থেকে চিরতরে বহিস্কার হবেন। ইউপি সদস্যদের ব্যাপারে দলীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত হবে না “মেম্বার যার যার-তবে নৌকা সবার”। নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হলে আর আওয়ামী লীগ করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এসময় ১০টি ইউনিয়নের নৌকার ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামীগীগসহ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন। তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক উপজেলা নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। এতে আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রের কাছে জমা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কয়েকটি ইউনিয়নে ‘বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন। আমরা আওয়ামী লীগ করি। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল। ‘নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আমরা জানি, ক্ষমতায় যাওয়ার একমাত্র উপায় দেশের সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার। মানুষের সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয়।’ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে সব অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে। ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে।’

রায়পুরে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সাধারন সম্পাদক হাজি ইসমাইল খোকন, সহসভাপতি মোঃ শাহজাহান, যুগ্ম সাধারণ হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি নাজমুল কাদের গুলজার, এডভোকেট ইউসুফ জালাল কিসমত, সাবেক মেয়র রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাষ্টার ও মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্যা বিএসসি।

উল্লখ্য-রায়পুরের ১০টি ইউনিয়নে ৫১ জন চেয়ারম্যান পদে, ১০০ জন সংরক্ষিত নারী ও ৪৬০ জন ইউপি সদস্য পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে প্রস্তাবকের দস্তখত জাল করায় এক স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঋন খেলাপির দায়ে তিন ইউপি সদস্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১১ নভেম্বর প্রত্যাহার ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ ও ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন সুত্রে জানা গেছে।