লক্ষ্মীপুরে বৃদ্ধা শাশুড়ীকে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ায় আদালতের নির্দেশে দাফন করার চার দিন পর ৩ জুলাই শনিবার সকাল দশটায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত আয়াতের নেছা (৭৫) লাশ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মুনিরা খাতুনের উপস্হিতিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আবদুল্ল্যাহ আল ফারুক ও উপ পরিদর্শক মোতাহের হোসেনসহ পুলিশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ৫৪/২১ নং মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডস্হ কাঞ্চনী বাজার এলাকার মনুমিয়া আমিনবাড়ির মৃত খোরশেদ আলমের স্ত্রী নিহত আয়াতের নেছা স্বামী মারা যাওয়ার পরে পুত্রবধূ নাজমুন নাহারসহ একই বাড়ীতে বসবাস করিতেন। কিন্তু তাদের ভিতরে মিলমিশ না থাকার কারনে পুত্রবধূর কাছে নানান সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায়ই ভাই (বাদীদের) র বাড়ীতে চলে যেতেন বৃদ্ধা আয়াতের নেছা। ঘটনাটি নিহতের একমাত্র সন্তান প্রবাসে (দুবাই) বসবাসকারী ছেলেকে জানালেও কোনো প্রতিকার হয়নি। এরই একপর্যায়ে গত ২৮ জুন রাত ১১ টায়র সময় বৃদ্ধা আয়াতের নেছে মারা যাবার পরদিন ২৯ জুন সকাল নটায় তার লাশ স্হানীয়ভাবে দাফন করা হয়।
নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের দাগ আছে উল্লেখ করে আয়াতের নেছার ভাইপো মোঃ হেলালউদ্দিন মারুফ (২১) বাদী হয়ে পুত্রবধূ নাজমুন নাহার ৫০) ও তার কন্যা ফারহানা আক্তার (২৫) সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সন্দেহজনক আসামী করে গত ৩০ জুন ৩০২/৩৪ ধারায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক মোঃ আবদুল্ল্যাহ আল ফারুক মুঠোফোনে দৈনিক বাংলার মুকুলকে বলেন, ময়নাতদন্ত করার লক্ষ্যে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্হিতিতে ৩ জুলাই সকাল দশটার সময় কবর থেকে লাশ উঠানোর পর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।