রামগঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে আজমপুর বিল,উত্তর বদরপুর,কালিকাপুর, কাশিমনগর গ্রামে সরকারী খাস সম্পত্তি ও কৃষি জমিতে বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে লাখ,লাখ ফুট ড্রেজার মেশিন দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন স্থানীয় ভূমিদস্যু আব্দুল আলীম, ড্রেজার মেশিন মালিক মোক্তাদির সহ দালাল চক্র।
স্থানীয়রা জানান মোহাম্মদীয় পুুলিশ তদন্তে সন্নিকটে আজমপুর বিলে সারা বছরধরে ভূমিদস্যুরা অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে ফসলি জমি ও সরকারী খাসজমি থেকে হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করে আসছেন। বছরের পর বছরধরে কৃষকের আহাকারে সাড়া মেলেনি প্রশাসনভাবে।
স্থানীয় কৃষকেরা গত দুই বছর যাবত প্রশাসন কাছে লিখিতভাবে আবেদন করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানসহ সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ রশিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ড্রেজার বন্ধের নির্দেশ দেন।
নির্দেশের কয়েকদিন পরেই ফের ড্রেজার দিযে বালু উত্তোলন করেন।
সূত্রে জানান, ড্রেজার মালিক ড্রেজার স্থায়ীভাবে চলতে আর বালু বিক্রেতা নিরবে ধান্ধা করতে পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড্রেজার দিয়ে কৃষিও সরকারি সম্পত্তিতে বালু উত্তোলন করেন।
উত্তর বদরপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির ঢাকাস্থ কাওরান বাজার কাব্যকস সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আব্দুল আলীম। তিনি আজমপুর বিলের উত্তর বদরপুর মৌজায় নিজের বেড়ী হতে কয়েক লাখ টাকার বালু বিক্রয় করেন স্থানীয় দালাল চক্রদের মাধ্যমে।
দালাল চক্র বছরের পরে বছরধরে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত দুই বছর যাবত ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন।
কৃষক সাহাবুদ্দিন, সাইফুল, জহির উদ্দিন, আরিফ হোসেন জানান কৃষিজমি থেকে বালু উত্তোলন করলেও পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ভূমিকা রাখেনি।
আমাদের কান্না সাড়া দেননি পুলিশ প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ভূমি কর্মকর্তারা।
বালু বিক্রেতা আলী আজম বলেন আমার বেড়ী থেকে বালি বিক্রয় করেছি।
ড্রেজার মালিক মুক্তাদির টেলিফোনে জানান, বালি বিক্রয় করেন আলী আজম আর আমি শুধু ড্রেজার মালিক।
মোহাম্মদীয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই রিয়াজ আহম্মেদ জানান উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত অভিজান করলে পুলিশ সদস্য দিয়ে তাকে সহায়তা করবেন।
করপাড়া ও লামচর ইউপি তহসিলদার মনির হোসেন ও সাইফুল ইসলাম জানান, আজমপুর বিলটি করপাড়া ও লামচর এ দুই ইউনিয়ন সম্পত্তি রযেছে। গতবছর তাহাদেরকে বালি উত্তোলন নিষেধ করলেও তাহা মানছেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা জানান, ইতিমধ্যে রামগঞ্জে যোগদান করার পর হতে তিঁনি সরকারি সম্পত্তি সহ ইট ভাটার অবৈধ ট্রলি, ট্রাক্টর, কৃষি জমি থেকে মাটি উজাড় কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। ড্রেজার আর বালু উত্তোলন বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
Leave a Reply