বর্তমানে এই অঞ্চলে চলাচলকারী প্রায় ৬০ হাজার মানুষের একমাত্র সড়ক এটি।নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এ ছাড়াও রামগতি উপজেলায় সংস্কার ও নির্মাণকৃত বেশিরভাগ সড়কের এমন পরিস্থিতি বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।
রামগতি উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর(এলজিইডি) সঠিকভাবে তদারকি না করা এবং মোটা অঙ্কের কমিশন গ্রহণের কারণে এমন পরিস্থিতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা। রামগতি উপজেলা এলজিইডির নির্মাণকৃত সকল রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক বলে দাবী এলাকাবাসীর। এদিকে নির্মাণের পর থেকে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে গণপরিবহন চালকদের।এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কমিশন বাণিজ্য আর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের কারণকে দায়ী করেন ঐ সড়কে চলাচলকারী জনসাধার।
ভুক্তভোগী রাসেদ, খুরশিদ আলম,রবিউল ইসলাম বলেন মাত্র দুই মাসের মাথায় রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক।নতুন এই রাস্তার পিচ ঢালাই উঠে গেছে।
তারা আরো জানান, রাস্তায় পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন প্রয়োজন মতো বিটুমিন না দেয়া ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তারা বাধাও দেন। কিন্তু ঠিকাদার ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার তাদের কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছামতো তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। তারা তো দায়সারাভাবে কাজ সমাপ্ত করে চলে গেছেন,কিন্তু এখন আমাদের দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে বলে তারা বলেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান টেডার্সের পক্ষে কাজ সমাপ্তকারী স্থানীয় ঠিকাদার মো.আব্দুল ওয়ারেছ মোল্লাহ সড়কের এই সব অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন,রামদায়ল-বিবিরহাট সড়কটি নির্মাণের সময় কাঁচা থাকায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।এখন আবার মেরামত করা হবে।
ঐ সড়কের দায়িত্ব প্রাপ্ত রামগতি উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুর রহিম বলেন,পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে মেরামতের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী মহিউদ্দিন মাসুমের সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমিন বলেন এই সড়কটিসহ এলজিইডি’র বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
Leave a Reply