লক্ষ্মীপুরের চররুহিতা এলাকায় পাওনা ২০০ টাকা না দেয়ায় লোকমান হোসেন (৬৩) নামে এক বৃদ্ধকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে খোরশেদ নামে এক অটোরিকশা মালিকের বিরুদ্ধে। ৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লোকমান চররুহিতা গ্রামের চৌকিদার বাড়ির বাসিন্দা। অভিযুক্ত অটোরিকশা মালিক খোরশেদ একই এলাকার সিরাজ উল্যা পালোয়ানের ছেলে। এদিকে লোকমানের মৃত্যুতে পরিবারের লোকজনকে হাসপাতালে অঝোর ধারায় কান্না করতে দেখা যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃদ্ধ লোকমান ভাড়ায় খোরশেদের ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালাতো। কিছুদিন আগে তিনি খোরশেদের অটো রিকশা চালানো বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তার কাছ থেকে খোরশেদ ২০০ টাকা পাওনা ছিলো। বৃহস্পতিবার ঘটনার সময় লোকমানকে পেয়ে সড়কে গতিরোধ করে খোরশেদ পাওনা টাকা দাবি করে। লোকমান টাকা পরে দেয়ার কথা বলতেই খোরশেদ তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে খোরশেদ বুকের ওপর উঠে গলা টিপে লোকমানকে হত্যা করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে খোরশেদ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আহত লোকমানকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে (লোকমান) মৃত ঘোষণা করে।
নিহত লোকমানের চাচাতো ভাই মুরাদ হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের কাছে খোরশেদ ২০০ টাকা পেতো। রাস্তার ওপর খোরশেদ টাকা চাইলে ১০০ টাকা করে আমার ভাই শুক্রবার ও সোমবার পরিশোধ করবে বলেছে। কিন্তু খোরশেদ এতে রাজি না হয়ে আমার ভাইকে গলা টিপে হত্যা করেছে। নিহত লোকমানের ছেলে রাকিব হোসেন বলেন, খোরশেদ পাওনা টাকার জন্য নির্মমভাবে মেরে গলাটিপে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমি খোরশেদের বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, ২০০ টাকা নিয়ে হাতাহাতি ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।